অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা আরও জানালেন, যাদের অ্যালার্জির সমস্যা প্রকট তাদের টিকা না নেওয়াই ভালো। এ ছাড়া যাদের হাঁপানি বা ফুসফুসজনিত অসুখ রয়েছে তাদেরও নেওয়া ঠিক হবে না। তবে সবক্ষেত্রেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানালেন তিনি।
হার্টে রিং পরানো আছে যাদের তারা টিকা নিতে পারবেন কীনা প্রশ্নে তিনি বলেন, যদি সব প্যারামিটার ঠিক থাকে, তবে অসুবিধা নেই।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী কিংবা করোনা পজিটিভ থাকা অবস্থায় টিকা নিতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস থাকলে তবে এসব নিয়ন্ত্রণে এনে দ্রুত টিকা নেওয়াটাই বরং মঙ্গল। আমাদের দেশে যদি এসব রোগীদের ডাটাবেজ থাকতো তবে কোমরবিড (একাধিক রোগে ভুগছেন) রোগীদের আগে টিকা দিতাম।’
‘ক্যান্সারে যারা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন তারা ছাড়া সবাই টিকা নিতে পারবেন। কারণ, কেমোথেরাপির একটা আলাদা রিএকশন থাকে শরীরে। বাকিদের শারীরিক পরিস্থিতি বুঝে টিকা দেওয়া যাবে।’ জানান ডা. আলমগীর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সূত্রানুযায়ী, ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে করোনার টিকা নিয়েছেন দুই লাখ চার হাজার ৫৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৪০ হাজার ১৫২ ও নারী ৬৪ হাজার ৩৮৮ জন। সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৩৬৩ জনের মধ্যে।
এখন পর্যন্ত টিকা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার কোনও সংবাদ নেই। যেসব মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়, সেগুলোর কথাই বলেছেন টিকা গ্রহীতারা। কিছু সময় পর যা সেরেও গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনসহ (সিডিসি) বলছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, ফাইজার, বায়োএনটেক- এসব টিকা দেওয়ার পর টিকা দেওয়ার স্থানে হালকা ব্যথা, ফুলে যাওয়া, লাল হওয়া, মাথাব্যথা, হালকা জ্বরের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। এসব প্রতিক্রিয়া যে কোনও টিকার বেলাতেই হতে পারে।